পুলিশ যখন বউ

No comments

 

গল্প :- পুলিশ যখন বউ

Part :- 06
-এটা বলেই অনু আমার গালে একটা চুমু দিয়ে আবার বুকে মাথা রেখে গুমিয়ে গেলো!!
- তাই আমিও চোখ না খুলে মিটি-মিটি হেসে গুমিয়ে গেলাম!! মেয়েটার পাগলামি দেখে হাসি পেলো তাও হাসলাম না!! মনে-মনে হেসে নিলাম কতক্ষণ!!
- আযান দিতেই কেনো জানি ঘুম ভেঙ্গে গেলো তাড়াতাড়ি!! চোখ খুলে ডান -বাম দিকে তাকালাম কেউ নেই!! হঠ্যাৎ শরীরের উপর একটা ভারি বস্তুর টের পেলাম!! তাকিয়ে দেখি অনু আমার উপরে শুয়ে আছে!!
- ওর ফেলা গরম নিশ্বাসটা আমার বুকে এসে পড়তেছে!! আর আলাদা একটা অনুভূতি মনের ভিতরে জাগতেছিলো!! আমি কেনো জানি শিউরে উঠতেছিলাম!! তাও নিজেকে সামলাচ্ছিলাম!!
- ওর চুলগুলো খুলে গিয়ে ওর মুখের উপরে পড়ে আছে!! তাই সেগুলোকে হাত দিয়ে সরিয়ে দিতে ছিলাম তখনই অনু হঠ্যাৎ চোখ খুলে তাকিয়ে যায়!!আমি অবাক হয়ে যাই এটা দেখে!!
- কি হলো হিরো বউকে আদর করতেছেন নাকি?? ( অনু)
- আরে না আপনার চুলগুলো খোলা ছিলো তাই সেগুলোকে গুছিয়ে দিচ্ছিলাম!! ( শাহারিয়ার)
- ওও তা আমার শাড়িটাও তো অগুছালো সেটা গুছিয়ে দিবেন নাকি!! ( অনু)
- ধুর কি বলতেছেন আপনি!! ( শাহারিয়ার)
- কি বলতেছি মানে!! বউকে আদর করবেন সেটা মুখে বলতে পারেন না লুকিয়ে-লুকিয়ে আদর করতে লজ্জা করে না!! ( অনু)
- আদর করলাম কখন আপনাকে!! ( শাহারিয়ার)
- আপনি জানেন সকালে ঘুম থেকে উঠে বউয়ের চুল গুছিয়ো দেওয়া কিন্তু রোমান্সের একটা অংশ!! ( অনু)
- ঠিক আছে এখন থেকে আর চুলগুছিয়ে দিবো না ওকে!! (শাহারিয়ার)
- ঠিক আছে!! তবে প্রত্যেকদিন সকালে আমাকে একটা করে পাপ্পি দিতে হবে!! ( অনু)
- কিহ😕😕!!( শাহারিয়ার)
- এত অবাক হওয়ার কি আছে বাহিরের মহিলাকে করতেছেন নাকি নিজের বউকেই তো কিস করবেন এতে এতো অবাক হলেন কেনো!! ( অনু)
- আমি কিস করতে পারবো না!!( শাহারিয়ার)
- ঐ ভালোই-ভালোই রাজি হয়ে যান নাহলে আপনাকে জুড় করিয়ে রাজি করাবো!! ( অনু)
- দেখেন এটা কিন্তু ঠিক না আপনি একটা-একটা করে আবদার বাড়াচ্ছেন!! কবে না জানি বলে বসে থাকেন আপনার একটা বেবি লাগবে!! (কথাটা বলেই জিব্হায় কামড় মারলাম)
- অনু এটা শুনে আমার দিকে চোখ বড় বড় করে তাকালো!! না জানি এখন কি বলে বসে তাই ওও কি বলে তার মুখের দিকে তাকিয়ে রইলাম!!
- আরে না সেটা হানিমুন থেকে ফিরে এসে প্লেন করবো!! যে কবে বেবি নিবো ওকে!! ( অনু)
- কি আর বলবো তাই চুপ করে রইলাম!! কারণ এখন কথা বললেই বিপদে পড়তে হবে কনফার্ম!!
- এই যে আমাকে একটু জড়িয়ে ধরেন না প্লিজ!! ( অনু)
- কেনো!! ( শাহারিয়ার)
- ঐ আপনার মুখ থেকে যেনো আর একবারও কেনো কথাটা না শুনি!! কিছু হলেই কেনো?? (অনু)
- ঠিক আছে!! ( শাহারিয়ার)
- এখন একটু জড়িয়ে ধরেন!!( অনু)
- জড়িয়ে ধরলে কি হবে!! ( শাহারিয়ার)
- কলিজাটা ঠান্ডা হবে!! ( অনু)
- কিভাবে!! ( শাহারিয়ার)
- কাছের মানুষটা যখন আপনাকে জড়িয়ে ধরবে ঐদিন বলতে পারবেন কলিজা কিভাবে ঠান্ডা হয়!! ( অনু)
- ওও!! ( শাহারিয়ার)
- ঐ আপনি কথা না বলে জড়িয়ে ধরেন তো আমাকে!! ( অনু)
- আচ্ছা!! ( বলেই অনুকে আটকে নিলাম নিজের মাঝে!! ( শাহারিয়ার)
- এভাবে কিছুক্ষন কথা ছাড়াই শুয়ে ছিলাম দুজন!! কাল সারাদিন ব্যাস্তায় কাটলো রাতটাও ঠিক ভাবে ঘুম হয় নি!! তাই চোখটা আবার লেগে গেলো!!
- সকালে গালে কোনোকিছুর নরম স্পর্শে ঘুমটা ভেঙ্গে গেলো!! তাকিয়ে দেখি অনু আমার গালে পাপ্পি দিতেছে!!
- তাড়াতাড়ি সড়ে গেলাম সেখান থেকে!!
- কি করতেছেন আপনি?? ( শাহারিয়ার)
- আমার বরটাকে আদর করতেছি?? ( অনু)
- কাউকে না বলে তাকে কিস করা কিন্তু ঠিক না!! ( শাহারিয়ার)
- ঐ কাউকে মানে আমার স্বামীকে আমি কিস করেছি তাতে এত রিয়েক্ট করার কি আছে!! ( অনু)
- সাইড দেন আমি ভার্সিটিতে যাবো!! ( শাহারিয়ার)
- কালকে বিয়ে করলেন আর আজকেই ভার্সিটিতে যাবেন মানে কি!! ( অনু)
- মানে আপনাকে কিছুই বুঝতে হবে না সরেন আমি উঠবো!! ( শাহারিয়ার)
- ওকে!! আমিও দেখবো আপনি কিভাবে ভার্সিটিতে যান!! ( অনু)
- কোনো কথা না বলে চলে গেলাম ফ্রেশ হতে!! ফ্রেশ হয়ে এসে দেখি অনু রুমে নেই!! যাক ভালোই হলো তাই মনের সুখে রেডি হয়ে নিচে গেলাম!!
- নাস্তার টেবিলে বসতেই আপু এসে নাস্তার প্লেইটা তুলে নিলো!!
- কি হলো আপু প্লেইটা তুলে নিলি কেনো!! ( শাহারিয়ার)
- তুই রেডি হয়েছিস কেনো!! কোথায় যাবি নাকি?? ( আপু)
- হুম ভার্সিটিতে যাবো!! ( শাহারিয়ার)
- ঐ তুই কালকে বিয়ে করে আজকে ভার্সিটিতে যাবি তোর মাথা ঠিক আছে!! ( আপু)
- হুম আজকে ভার্সিটিতে একটু কাজ আছে তাই যেতেই হবে!! ( শাহারিয়ার)
- আজকে কোথাও যেতে পারবি না যা রুমে গিয়ে নরমাল ড্রেস পড়ে আয় তারপর খাবার পাবি!! ( আপু)
- আমি খাবোই না!! ( বলেই উঠে চলে যাচ্ছিলাম)
- তখন ভাবি ডাক দিলো,,,
- ছোট সাহেব কই যাও!! ( ভাবি)
- ভার্সিটিতে যাবো একটু কাজ আছে!! ( শাহারিয়ার)
- এদিকে আসো তো একটু!! ( ভাবি)
- বলো কি বলবে আমি শুনতেছি!! ( শাহারিয়ার)
- এদিকে আসো তারপর বলবো!! ( ভাবি)
- হুম এবার বলো কি বলবে?? ( কাছে গিয়ে বললাম)
- কাধের ব্যাগটা এদিকে আমার কাছে দাও!! ( বলেই ভাবি ব্যাগটা নিয়ে নিলো)
- কি বলবে বলো!! ( শাহারিয়ার)
- শুনো কয়েকদিন ভার্সিটিতে যাওয়ার দরকার নেই!! এখন যাও রুমে গিয়ে ছোট সাহেবাকে সময় দাও!! ( ভাবি)
- ভাবি তুমিও শুরু করে দিলে!! ( শাহারিয়ার)
- দেখো অনু এখন তোমার বউ তাই তার সব কিছুতেই তোমাকে খেয়াল রাখতে হবে!! তুমি না আমার লক্ষি ভাই যাও এখন রুমে গিয়ে রেষ্ট করো !! ( ভাবি)
- ভাবি তুমি জানো যে আমি তোমার কথা ফেলতে পারি না আর তুমি তাও বলতেছো!! ( শাহারিয়ার
)
- হুম এখন যাও!! পরে কথা বলবো এখন ছোট সাহেবাকে খুশি করো!! (ভাবি)
- যথা আঙ্গা মহা রাণী😒😒!!( বলেই আবার রুমে চলে গেলাম)
- রুমে গিয়ে কাপড় চেইন্জ করার পর বসে বসে মোবাইল টিপতে লাগলাম!!
- কিছুক্ষন পর অনু খাবার নিয়ে রুমে ডুকলো!!
- কি হিরো ভার্সিটিতে গেলেন না!! ( অনু)
- ভাবি যেতে দেয় নি!! ( শাহারিয়ার)
- ওও!! কেনো যেতে দেয় নি!! ( অনু)
- ঐ যে নতুন বিয়ে করেছি তাই নাকি যাওয়া যাবে না!! ( শাহারিয়ার)
- তা বাসায় থেকে কি করবেন তা জিঙ্গেস করলেন না আপনার ভাবিকে?? ( অনু)
- হুম বলেছিলাম!!( শাহারিয়ার)
- তা কি বললো ওনি?? ( অনু)
- বলেছে আপনা......( বলতে গিয়েও থেমে গেলাম)
- যদি বলি অনুকে সময় দিতে বলেছে তাহলে আজকে আমার কাজ খালাশ!! জুড় করে হলেও তা আদায় করে ছাড়বে!! তার চেয়ে ভালো না বলাই!!(শাহারিয়ার)
- কি হলো থেমে গেলেন কেনো বলুন!! ( অনু)
- না এমনি!! ( শাহারিয়ার)
- ওও আচ্ছা নাস্তা এনেছি খেয়ে নেন!! ( অনু)
- হুম দেন!! ( বলেই নাস্তা খাওয়ার জন্য বসে গেলাম)
- অনু নাস্তা দিয়ে খাটে বসে গেলো!! আমি খেতে লাগলাম!! কি মনে করে জেনো অনুকে বলে বসলাম!!
- আপনি খেয়েছেন?? ( শাহারিয়ার)
- না আপনি খেয়ে নেন তারপর আমি খাবো!! ( অনু)
- এখনো খান নি!! এখানে যা খাবার আছে দুজনের হয়ে যাবে সো বসে পড়েন এখানেই!! ( শাহারিয়ার)
- বসতে পারি একটা শর্তে!! ( অনু)
- মাহির এমন কথা শুনে আমি খাবার বন্ধ করে দিলাম!!
- কি শর্ত!! ( শাহারিয়ার)
- আমাকে আপনি খাইয়ে দিলে আমি এখন খাবো!! ( অনু)
- কিহ 😲😲!!( শাহারিয়ার)
- বললাম যে আপনি যদি খায়িয়ে দেন তাহলে খাবো আমি!! ( অনু)
- থাক আপনি পড়ে খেয়ে নিয়েন!! ( শাহারিয়ার)
- মানে?? ( অনু)
- মানে হলো আপনাকে খেতে হবে না!! আপনি পরে নিজের হাতেই খেয়ে নিয়েন!! (শাহারিয়ার)
- না আমি এখন খাবো!! আর আপনি আমাকে এখন খায়িয়ে দিবেন!! ( অনু)
- আমি পারবো না!! ( শাহারিয়ার)
- আপনি পারবেন না মানে আপনাকে পারতেই হবে!! ( অনু)
- দেখেন জুড় করবেন না প্লিজ!!?( শাহারিয়ার)
-তাহলে আমাকে এখনই কিস করতে হবে!! তাহলে খায়িয়ে দেওয়ার ব্যাপারটা মাফ!! ( অনু)
- এই মেয়ের কথা শুনে আমি নিজেই পাগল হয়ে যাবো!! কিস করার চেয়ে খায়িয়ে দেওয়াই ভালো!!
- নেন খা করেন!! ( শাহারিয়ার)
- অনুর খাবারটা নিয়ে নিলো!!!
- আপনি যে এত ভালো আগে জানতাম না!! আমার কপালটা কতো ভালো যে এমন একটা স্বামী পেয়েছি!! ( অনু)
- চিটিং করেছেন আপনারা সবাই মিলে!! ( শাহারিয়ার)
- ওলে আমার বরটা রে!! এতো ভালো তুমি!! ( বলেই আমার গালগুলো ধরে টেনে দিলো)
(অনু)
- ঐ কি করতেছেন আপনি!! ( শাহারিয়ার)
- কেনো আপনাকে একটু আদর করে দিলাম!! ( অনু)
- আমাকে আদর না করে আগে খেয়ে নেন!! আমি একটু বাহিরে যাবো!! ( শাহারিয়ার)
- আপনাকে না ভাবি বললো আজকে আমাকে সময় দিতে!! ( অনু)
- অনু জানলো কিভাবো ভাবি আমাকে কি বলেছে!!অনু তো তখন ঐখানে ছিলো না!! তার মানে অনু আজ সকালে ভাবিকে বলে আমার ভার্সিটিতে যাওয়া আটকিয়েছে!! ওও তাহলে আমিও একটু মজা নিয়ে নেই!!
- হুম আজকে দিনটা তো আপনারই!! ( শাহারিয়ার)
- সত্যি!! (অনু)
- তাহলে চলেন...................!!!!!
( চলবে.....................)
ভালো লাগলে রিকুয়েষ্ট দিয়ে সাথে থাকবেন সবার আগে সুন্দর সুন্দর গল্প পড়ার জন্য

No comments :

Post a Comment

প্রবাসের জীবন

No comments

 প্রবাসে

 

দীর্ঘ আট বছর,, প্রবাসে কাটিয়ে যখন কাউকে না জানিয়ে বাড়িতে আসি সারপ্রাইজ দিবো বলে,, বাড়িতে এসে আমি নিজেই সারপ্রাইজ হয়ে যাই কারণ আজকে আমরা ছোট ভাইয়ের বিয়ে অথচ আমাকে কেউ একবার বলেনি,,
আমি বাড়িতে আসায় কেউ খুশি হতে পারেনি আমি ভালো বুঝতে পারছিলাম,, কারণ তাদের চেহারায় খুশির চেয়ে বিরক্ত ভাব টা বেশি ছিলো,, সবার সাথে কোশল বিনিময় করে ঘরে যাই,, তখন বাবা আমার পিছন পিছন আসে,,
— কিরে নিলয় হঠাৎ বাড়িতে চলে আসলি যে কোন সমস্যা হইছে
— না বাব সমস্যা হয় নাই,, তোমাদের দেখতে মন চাইলো তাই চলে আসলাম,,
— ওওও তা আবার কখন যাবি
— বাবার কথা শুনে কিছু টা অনেক টা অবাক হলাম,, এই মাএ বাড়ি আসলে,, আর এখন জিজ্ঞেস করছে কখন যাবি,, একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললাম,, কিছু পর চলে যাবো বাবা,,
— ওহ্ এখন না এসে কিছু দিন পর আসতি,, এখনো অনেক লেনাদেনা বাকি আছে আমাদের
— বাবার কথা শুনে কিছু বললাম না,, তখন মা বললো
— কিরে বাবা চলে আসলি কেন কোন সমস্যা হইছে
— না মা সমস্যা হয় নাই,, এমনি আসলাম তোমার দেখতে
— ওও আচ্ছা ফ্রেশ হয়ে আর,, আজকে আবার রাকিবের বিয়ে তুই যাবি নাহ্ তোর ভাইয়ের সাথে
— নাহ্ মা আমি আমি ক্লান্ত,, তাই যাবো নাহ্
আমি আমার মা বাবার কথা শুনে অনেক টা অবাক হলাম,, বড় ছেলে বিয়ে করে নাই,, তাকে জিজ্ঞেস করে ছোট ভাইয়ের বিয়েতে যাবে কি নাহ্,, সবাই ছোট ভাইয়ের সাথে চলে গেছে,, শুধু মা ছাড়া,, সারা দিনের জার্নি করে অনেক টা ক্লান্ত,, তাই কিছু না খেয়ে ঘুমিয়ে পড়ি ঘুম ভাঙ্গে মানুষের হইচই শুনে বুঝতে পারলাম বউ নিয়ে চলে আসছে এর মধ্যে ছোট ভাইয়ের সাথে কথা বা দেখা হয় নাই,, ওই ভাবে শুয়ে আছি আমাকে কেউ জিজ্ঞেস করেনি আমি কিছু খেয়েছি কিনা না একটু পর ছোট বোন আসলো
— ভাইয়া কেমন আছো তুমি
— ভালো,, তুই কেমন আচ্চিস
— ভালো,, ভাইয়া তুমি মনে হয় সকাল থেকে কিছু খাওনি
— আরে তেমন কিছু না,, খাওয়া হইছে আমার
— ভাইয়া তুমি মিথ্যা টা ও ভালো ভাবে বলতে পারো নাহ্,, তুমি বসো আমি খাবার নিয়ে আসি
মানুষ বলে মা নাকি সন্তানের দুঃখ বোঝে কিন্তু আমার বেলা উল্টো আমার আম্মু মনে নাই আমি বাড়িতে আসছি,, এতো খন যার সাথে কথা বললাম,, সে হলো আমার ছোট বোন,, এক মাএ আমার বোন আমার চেহারা দেখে বলতে পারে আমি কি চাই,, তাই তো বুঝতে পারছে আমি কিছু খাই নাই,, কিছু খন পর খাবার নিয়ে আসলো
— ভাইয়া খাবার টা খেয়ে নাও
— হুম
— ভাইয়া একটা কথা বলি,,
— হুম বল কি বলবি
— আমার হাতে খাইয়ে দিবো তোমাকে
— হুম দে অনেক দিন হলো কারো হাতে খাবার খাই না
তার পর ছোট বোন,, খাবার খাইয়ে চলে গেলো,, রাতের বেলা সবাই আমার ঘরে আসলো সাথে ছোট ভাই ও ছিলো,, আম্মু বললো
— নিলয় কি নিয়ে আসলি আসার সময়,, আমাদের একটু দেখা
— এনে ছিলাম অনেক কিছু,, কিন্তু কা কে দিবো বুঝতে পারছি না,, তখন বাবা বললো
— কা কে দিবি মানে আমার তোর পরিবার আমাদের কে দিবি
— একটা মুচকি হাসি দিয়ে বললাম তোমারা আমার পরিবার
— কেনো
— নাহ্ এমনি,, আমি এখন কিছু খুলতে পারবো নাহ্,, দুই দিন পড়ে খোলবো,,
তারপর সবাই চলে গেলো কি আজব দুনিয়া,, আমার থেকে তাদের কাছে জিনিসের দাম টা বেশি দেখতে দেখতে দুই দিন কেটে গেলো দুই দিন পর
পরবর্তী গল্প পেতে ফ্রেন্ড রিকোয়েস্ট দিয়ে পাশে থাকুন
চলবে
গল্প : আমি ক্লান্ত
পাট : ১

No comments :

Post a Comment

বিনোদন

No comments

 বিনোদনের ডিব্বা


🤣🤣,,,,,,,,,,,,,,, ওরে বিনোদন,,,,,,,,,,,,,,🤣🤣
স্ত্রীঃ আমি মারা গেলে তুমি আর একটা বিয়ে
করে নিও, [অসুস্থ হওয়ার সময়! ]
স্বামীঃ না না, আর বিয়ে করবো না।
স্ত্রীঃ ওও আচ্ছা তাইলে ফুলে ফুলে মধু খেয়ে
বেড়াবা, তাই না...?
স্বামীঃ আচ্ছা বিয়ে করে নিবো।
স্ত্রীঃ সেতো করবেই অপেক্ষায় আছো, কবে মরবো।
স্বামীঃ না, গো না! তোমায় আমি কিছুতেই মরতে
দিবো না।
স্ত্রীঃ হ্যাঁ, আমি জানি তো আমি বিছানায় পড়ে থাকব আর তুমি বাহিরে মেয়ে নিয়ে ফুর্তি করবা।
স্বামীঃ কি যে বলো, বাহিরে ফুর্তি করতে যাবো কেন?
স্ত্রীঃ আচ্ছা তার মানে ঘরে এনে ফুর্তি করবা?
স্বামীঃ আচ্ছা মুশকিল, ঘরে আনব কেন?
স্ত্রীঃ তারমানে, তার ঘরে গিয়ে ফুর্তি করবা? কে সেই রমনী?পাশের ফ্লাটের ভাবি তাই না??
স্বামীঃ আরেহ ধুর, উনি তো আমার বয়সে বড়.।
স্ত্রীঃ ওও আচ্ছা,বয়স টাও জানা হয়ে গেছে!
স্বামীঃ আরেহ নাহ, আমি জানতে চাই নাকি, উনি নিজেই বললেন।
স্ত্রীঃ কবে বললো তুমি ঐ ফ্লাটে গিয়েছিলে তাই না?
স্বামীঃ নাহ, তার ফোন হ্যাংক করছিল ভাইয়া বাসায় ছিল না তাই ঠিক করার জন্য আমাকে ডেকেছিল।
স্ত্রীঃ ওও আচ্ছা, যখন ভাইয়া ছিল না তখন গেছো?চরিত্রহীন, লম্পট!আজই তোমাকে ডিভোর্স দিবো।
স্বামীঃ ধুর পাগলী, ডিভোর্স কি একদিনে হয় নাকি? অন্তত ৩ মাস সময় লাগে।
স্ত্রীঃ সে খবর ও নেওয়া হয়ে গেছে? বাকি কি রেখেছো শুনি?
স্বামীঃ কি যে সব বলো ; ঘুমাও তো
স্ত্রীঃ হুম, আমি ঘুমায় আর তুমি ভাবির সাথে ছাদে ডেটিং মারবা?
স্বামীঃ ধুরর, তোমার যা মন চায় ভাবো আমি গেলাম
স্ত্রীঃ সেতো যাবাই, টাইম তো ফিক্সড করেই রাখছো।
স্বামীঃ [স্বামী বেহুশ]

No comments :

Post a Comment

গল্প লেখা

No comments

 ঘটনা অবলম্বনে

আমার স্ত্রীকে সেদিন খুব মারার পর আর তেমন একটা কথা বলে না। বেশিরভাগ সময় চুপচাপ থাকে । সংসারের কাজকর্ম চুকিয়ে চুপচাপ বসে কাঁথা সেলাই করে। আগের মত আর ফোন চাপে না, গুন গুন সুরে গান করে না।
পাড়ার কোনো মহিলার সাথেও সেভাবে কথা বলে না।যখন হাতে একেবারেই কোনো কাজ থাকে না তখন পুকুর পাড়ে গিয়ে বসে।
আমার বেশ ভালই লাগে। সারাক্ষণ হাসি আর বক বক করে মাথা খেত। এতটা বাচাল হওয়া কোনো বিবাহিত মেয়েরই ঠিক নয়। তাই ভাবলাম শুরুতেই ডগা ছেঁটে দেই।
তাই সেদিন দিলাম কয়েক ঘা বসিয়ে। সেদিন অর্পি শুধু নির্বাক হয়ে তাকিয়ে ছিল। তার চোখের জল টলমল করে উপছে পড়তে চায়। আমি হাত উঁচু করে বলেছিলাম যদি সে কাঁদে তবে তাকে খুন করে ফেলব।
সেইযে চুপ ভয়ে এখন সে কাঁদতেও ভুলে গিয়েছে।
বেশ খেয়াল করে দেখছি যে তার ফোনে কোনো কলও আসে না৷ একটা আশংকা নিয়ে অর্পির ফোন নিয়ে দেখি ফোনটা খোলাই আছে। আমি অবাক হলাম এই ভেবে ফোন খোলা অথচ কেউ ফোন করে না।
অবশ্য ফোন করবে কে, বাবার বাড়ি থেকেই কোনো খোঁজ নেয় না তার আবার অন্য লোক! বিয়ের সময় বাবার বাড়ি থেকে যা যা দেবার কথা ছিলো করনার জন্য তাদের আর্থিক অবস্থা ভালো না বলে দিতে পারেনি বলেই যোগাযোগ করে না তারা।
কয়েকজন বান্ধবীর সাথে দেখতাম নিয়মিত কথা বলত।
এখন তাও বলছে না। কল লিস্ট এবং সেভ করা নম্বর চেক করে দেখি সেখানে শুধু আমার আর আমার আত্মীয়-স্বজনের নম্বর। ব্যাপারটা বেশ ভালই লাগল। বিয়ের পর মেয়েদের নিজের বাপের বাড়ির সাথে অত কথা কিসের? বেশ তৃপ্তি নিয়ে সেদিন ঘুমাতে গেলাম।
ঘুমের ঘোরে বিছানাটা ফাঁকা মনে হলো। হুট করেই জেগে দেখি পাশে অর্পি নেই। মুহুর্তেই ঘুম উধাও।
বিছানা ছেড়ে উঠে গেলাম।
ঘড়ির দিকে তাকিয়ে দেখলাম রাত তিনটার কাঁটা ছুঁয়ে গেছে।
ঘর ছেড়ে বারান্দায় এলাম সেখানেও অর্পি নেই। পাশের কামরায় উঁকি দিয়ে দেখি জানালা দিয়ে সে আকাশ দেখছে। ঠিক বুঝতে পারলাম না ঘোরতর অমাবস্যার রাতে আকাশে দেখার কি থাকে? ওর পিছনে দাঁড়িয়ে আমি নিজেও আকাশ পানে দৃষ্টি নিবদ্ধ করলাম। অজস্র তারায় আকাশটা কেমন সেজে উঠেছে। তারার অস্পষ্ট আলোতেও প্রকৃতি সত্যিই মোহনীয় সাজের দ্যূতি ছড়াচ্ছে। যারা এই আকাশ দেখেনি তারা বুঝবে না এর কি দুর্নিবার আকর্ষণ। অর্পি আকাশ দেখায় এতটাই মগ্ন যে আমার উপস্থিতি তার অনুভবেই আসেনি। কিছু না বলে পিছনের পা পিছনে রেখেই শোবার ঘরে ফিরে আসি। ঘরে এসে কিছুতেই মন টিকছে না। মেয়েটার উপর হয়তো অবিচার করা হচ্ছে।
খুব মন খারাপ করে থাকে আজকাল। যা বলি শুধু তারই উত্তর দেয়। যা বাজার করি তাই রান্না করে। বিগত ছয় ছয়টি মাস ধরে সে মুখ ফুঁটে কিছুই খেতে চায়নি। কেমন যেন বোবা হয়ে গিয়েছে। আদরেও নির্লিপ্ত থাকে শাসনেও তাই। কেমন যেন জড় পদার্থের মত হয়ে গিয়েছে। খাঁচায় ভরা পাখির মত মাঝে মাঝে ছটফট করে সে। তবে কি অর্পি মুক্তি চায়? মনটা খুব করে খারাপ হয়ে গেল কারণ বিয়ের সময় আমি আর্থিক কিছু না পেলেও বলতেই হয় যে একটা খুব সাংসারিক বৌ পেয়েছি,আর মেয়েটা অসম্ভব লক্ষি ধরনের একটা মেয়ে ।
সারাদিন শেষে ও তো শুধু বান্ধবীর সাথেই কথা বলতো।বাস্তবিক পক্ষে অর্পি খুব ভালো মানুষ। খুব ভালো মনের সে। তবে ওকে হারাবার কিসের ভয় আমার? তবে কি আমি সন্দেহ বাতিক গ্রস্থ? না, আর দেরি করা চলবে না। আগামীকালই আমি একজন সাইক্রিয়েটিস্ট এর কাছ থেকে পরামর্শ নেব। সাতপাঁচ ভাবতে ভাবতে কখনযে ঘুমিয়ে গিয়েছি জানি না।
সকালে সবার চেচামেচিতে ঘুম ভেঙে বাইরে এসে দেখি ঘরের পূর্বদিকের খালপাড়ের কাত হয়ে পড়া জির গাছটির মোটা ডালে অর্পি কালো দঁড়ি গলায় দিয়ে ঝুলছে।
#একটি_সত্যি_কাহিনী_অবলম্বনে
#collected

No comments :

Post a Comment

গল্প লেখার

No comments

 গল্প

লেখকঃ মেহেদী হাসান শিহাব ♦️
কলেজের গেইটে পা রাখতেই কেউ ল্যাং মেরে ফেলে দেয় আরহিকে,। প্রায় এক হাত দূরে বালির উপর গিয়ে পরে আরহি,।
আশেপাশে থাকা সকলেই দৃশ্যটা দেখে মজা নিচ্ছে আবার কেউ কেউ অনুশোচনা করছে,।
বালি ওর পুরো শরীর জুড়ে লেগে আছে। কলেজের প্রথমদিন এরকম বিশ্রী ঘটনার মুখোমুখি হবে ভাবেনি ও,। বালির উপর থেকে উঠে জামা থেকে ধুলোবালি ঝাড়ছে।
দেয়ালের উপর পা দুলিয়ে হাসতে থাকে ৪-৫ টা ছেলে। এদের মধ্যেই কেউ আরহিকে ল্যাং মেরেছে,।
আরহি ওদের সামনে এসে কিছুক্ষণ তাকিয়ে কিছু না বলেই চলে যায়,।
ছেলেগুলো ভেবেছিলো হয়তো মেয়েটা অন্য মেয়েদের মতো গালি দিবে কিন্তু ও কিছুই বললো না।
ওদের মধ্যে একটা ছেলে অনুপ বলে উঠলো,।
--কাজটা বোধহয় ঠিক হয়নি মেয়েটা হয়তো অন্যাসব মেয়েদের মতো স্বাভাবিক না হয়তো কথা বলতে জানে না।
অনুপের কথায় সবাই স্বায় দিলো শুধু শিহাব বাদে,।
-মেয়েটা স্বাভাবিক আর কথাও বলতে জানে ওইদিকে তাকা দেখ হাসিমুখেই কথা বলছে।
সবাই তাকিয়ে অবাক সত্যি তো মেয়েটা কথা বলছে।
আরেকটা ছেলে রকিব বললো
তাহলে মেয়েটা আমাদের গালি দিলো না কেন,। মেয়েটা নিশ্চয় ভীতুর ডিম।
-প্রতিদিন মেয়েদের গালি খেতে খেতে বদ হজম হয়ে গেছে সবার গালি না খেলে মাথা ঠিক থাকে না।
আরেকটা মেয়ে আসছে শিহাব এবার ওকে ল্যাং মারতে হবে,। দেখ ভাই আমাদের কিন্তু মেয়েদের রাগ দেখতেই ভালো লাগে।
-সব মেয়ে রাগ দেখায় এই এলিয়েন মেয়েটা আসলো কোথা থেকে রাগ বলতে কিছু দেখলাম না ওর মাঝে।
-আজ কলেজে নতুন ব্যাচ আসছে ইন্টারের।
-মামা নতুন নতুন সুন্দরী মেয়ে এবার বোধহয় আমাদের প্রেম হবে সবার।
-আরে আমাদের বসের তো প্রেমিকা এবারের ব্যাচে কলেজে আসবে তাই না বস,।
-হুম জোনাকি এই কলেজে ভর্তি হয়েছে আজ নিশ্চয়ই আসবে।
-তাহলে বস আজকে আর কাউকে ল্যাং মারবো না ভুল করে যদি ভাবিকে ল্যাং মেরে বসি তাহলে আমাদের কি হাল হবে।
-ঠিক বলেছিস চল নতুন ক্লাসে গিয়ে দেখি জোনাকি এসেছে কি না।
শিহাব আর ওর সব বন্ধু মিলে আরহিদের ক্লাসে গেলো।
আরহি তখন সবার সাথে আড্ডা দিচ্ছিলো।ওরা এসে সোজা টিচারের ডেস্কের উপর উঠে বসে।
-হাই গাইজ এটেনশন প্লিজ।
রকিবের কথা শুনে সবাই শান্ত হয়ে ওদের দিকে তাকায়। আরহি ওই ছেলেদের দেখে মাথা নিচু করে বই নিয়ে বসে আছে।
-আমরা হচ্ছি তোমাদের সিনিয়র আমরা সবাই অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র আর এই যে উনি আমাদের বস কলেজের সবাই উনাকে বস বলে আজ থেকে তোমরা ও বলবা,।
বস আপনি ওদের উদ্দেশ্যে কিছু বলেন।
-হ্যালো আমি শিহাব অনার্স তৃতীয় বর্ষের ছাত্র অর্থনীতি। আমার আরেকটা পরিচয় আমি কলেজের ছাত্রনেতা আমার বাবা এই কলেজের সভাপতি।
শিহাবের কথা শুনে প্রায় সবাই বুঝে গিয়েছে বাবার পাওয়ার খাটিয়ে কলেজে নিজের জায়গা দখল করে আছে।
শিহাব আবার বলতে শুরু করলো -এই কলেজে কারো কোনো সমস্যা হলে আমায় বলবে কেউ যদি গরীব হয় বেতন,ফিস দিতে সমস্যা থাকে নির্দ্বিধায় আমাকে জানাবে আমি সব ব্যবস্থা করে দিবো।
শিহাবের কথা শেষ হওয়ার সাথে সাথে ক্লাসে ছুটে আসলো জোনাকি,।
ও ভেবেছে হয়তো ক্লাস শুরু আর প্রথমদিন ওর লেইট।
এসে শিহাবকে দেখে চিৎকার করে উঠে।
-শিহাব তুমি।
-সবার সাথে পরিচিত হতে আসলাম জানোই তো আমি কলেজের লিডার।
-হ্যাঁ হ্যাঁ জানি তো মিঃ আপনি সবার বস।
শিহাব আর জোনাকির কথা শুনছে ক্লাসের অন্য ছাত্রছাত্রী। সবাই বুঝে গেছে এদের মাঝে বিরাট কোনো সম্পর্ক।
শিহাব আবার বলতে শুরু করলো,।
-জোনাকি আমার খুব কাছের মানুষ, সবাই ওকে সম্মান করবে ক্লাসমেইট বলে কেউ ওর সাথে বেয়াদবি করবে না,। ও কারো বিরুদ্ধে নালিশ দিলে হাত-পা কারো সাথে থাকবে না।
শিহাবের কথা শুনে আহ্লাদে আধখানা হয়ে গেলো জোনাকি। নিজেকে কেমন জানি নেত্রী নেত্রী মনে হচ্ছে।
এতোক্ষণে মাথা তুলে উপরে তাকালো আরহি,। কি হয়েছে এতোক্ষণ কিছুই শুনেনি।
ও ব্যস্ত ছিলো হুমায়ুন আহমেদের আজ হিমুর বিয়ে বইটা পড়াই।
খুব মনোযোগ দিয়ে বইটা পড়ছিলো খুব করে চাইছিলো ছন্নছাড়া হিমু রেণুকে বিয়ে করে সংসারী হবে।কিন্তু শেষ পর্যায়ে সব লণ্ডভণ্ড করে দিলো হিমু।খুব রাগ করে বইটা পাশে রেখে তাকিয়ে দেখে জোনাকি এসেছে,।
উঠে চিল্লিয়ে জোনাকি কে ডাক দিলো।
-জোনাকি তুই চলে এসেছিস আয় আয় তোর জন্য জায়গা রেখেছি,।
জায়গা রেখেছি শুনে সবাই তাকিয়ে দেখে আরহি নিজের জায়গা বাদে অন্য জায়গায় খাতা দিয়ে রেখেছে যাতে কেউ এসে না বসে,।
আরহির এমন বাচ্চামি দেখে সবাই হাসতে থাকে,। কেউ কেউ বলছে
এটা কলেজ এখানে এসে ও স্কুলের বাচ্চাদের মতো অবস্থা।
জোনাকি মনে মনে আরহিকে গালি দিচ্ছে এই গাঁধাটা বোধহয় এখানে ও জ্বালিয়ে মারবে।
শিহাব হাসতে হাসতে জোনাকিকে বললো।
-এই এলিয়েন কে জোনাকি।
-ও আস্ত একটা গাঁধা আমার স্কুল ফ্রেন্ড সারাক্ষণ আঠার মতো পিছন পিছন থাকে। কিন্তু খুব ব্রিলিয়ান্ট সারাক্ষণ বইয়ে ডুবে থাকে।
-আচ্ছা ওর কথা বাদ দাও ক্লাস শেষ করে ক্যান্টিনে চলে আসো।
জোনাকি আরহির পাশে গিয়ে বসলো আস্তে আস্তে আরহিকে গালি দিচ্ছে।
-কলেজে এসেছিস একটু স্মার্ট হো গাঁধি।
আরহি কিছু বুঝলো কি না কিন্তু মাথা নেড়ে হ্যা বুঝালো।
ক্লাস শেষ করে বাড়ি ফিরছিলো আরহি তখনি শিহাবের গাড়ি এসে কাঁদায় পড়লো আরহির পুরো জামায় কাঁদা লেগে গেলো,।
গাড়ি থেকে মুখ বের করে হু হু করে হেসে উঠলো শিহাব,।
বাড়ির কাছের একটা ফার্মেসীর সামনে এসে রিকশা থেকে নামলো আরহি,।
-তুর্জ ভাই বাবার ওষুধ গুলো দিবে শেষ হয়ে গিয়েছে।
-তুমি বসো আমি দিচ্ছি একি তুমি কাঁদায় লেপ্টে আছো কেনো।
-আর বলো না বড়লোকের ছেলে গাড়ি ড্রাইভ করতে রাস্তার ধারের মানুষ চোখে দেখে না।
-তুমি কি এনি চান্স আমায় খোঁটা দিচ্ছো।
-আরে না তুর্জ ভাই তুমি কি আর অন্য সবার মতো।
-নাও ওষুধ গুলো নিয়ে বাসায় যাও।
আরহি চলে আসতে গেলো তুর্জ পিছন থেকে ডাক দিলো,।
-এই যে পিচ্চি আপনার সিভিট নিবেন না।
-প্রতিদিন আমায় সিভিট দাও কেনো।
-তুমি খেতে ভালোবাসো তাই দেই, আমি যখন বড় ডাক্তার হবো তখন সিভিট কোম্পানি তোমার নামে করে দিবো,।
-বড় ডাক্তার হলে কি আমার কথা মনে থাকবে তোমার।
-তোমাকে আমার পি,এস বানাবো,। সারাক্ষণ আমার পিছন পিছন থাকবে,।
-বয়েই গেছে আমার,।
-হেই পিচ্চি তোমাকে আমার রাণী বানাবো।
-দেখা যাবে সময় হলে।

No comments :

Post a Comment